বর্তমান সময়ে টোটো, অটো, ভ্যান গাড়ি চুরি, ছিনতাই ডাকাতি ইত্যাদি অনেক বেড়ে গেছে। আর বেড়ে যাওয়ার প্রধান
কারণ হচ্ছে উক্ত গাড়ি গুলোর আইনসম্মত রেজিস্ট্রেশন নেই। এর ফলে চুরি হওয়া গাড়ি গুলো শনাক্ত করা যায় না।
ফলে গাড়ি গুলো আর উদ্ধার করা যায় না।
এ জন্য আপনার গাড়ির সুরক্ষার জন্য প্রথম কাজ হচ্ছে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করে নেয়া।
রেজিস্ট্রেশন করার সুবিধা
গাড়ি আর চুরি হবেনা, আর চুরি করলেও তা উদ্ধার করা সহজ হবে। কেননা রেজিস্ট্রেশন কৃত গাড়িতে একটি ইউনিক নাম্বার থাকার ফলে তা কখনো অন্য কেউ অন্যের নামে বিক্রি করতে পারবেনা। বিক্রি করতে গেলে ধরা পড়ে যাবে, আর আপনার গাড়ি আপনি ফিরে পাবেন।
অনলাইন রেজিস্ট্রেশন এর ফলে গাড়িটি আজীবনের জন্য আপনার নামে থাকবে। পৃথিবীর যে প্রান্তেই গাড়ি থাকুক ইউনিক নাম্বার দিয়ে সহজেই চেক করতে পারবেন।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, সরকার অনুমোদিত চার্জিং স্টেশনে অল্প খরচে চার্জ দেওয়ার সুবিধা নিতে হলে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের কপি লাগবে।
এই রেজিস্ট্রেশন এর কপি দিয়ে গাড়ির ইন্সুরেন্স করতে পারবেন। এর ফলে গাড়ি চুরি ও দূর্ঘটনা ঘটলে শর্ত সাপেক্ষে ক্ষতিপূরণ পাবেন।
পরবর্তীতে গাড়িতে জিপিএস ট্র্যাকিং ডিভাইস ব্যবহার করার সময় এই রেজিস্ট্রেশন দরকার হবে।
উক্ত রেজিস্ট্রেশন কার্ড সঙ্গে থাকলে রাস্তা ঘাটে পুলিশের ঝামেলা থেকে সহজে ছাড় পাওয়া যায়।
সরকারি অন্যান্য সেবা ও সহযোগিতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে উক্ত রেজিস্ট্রেশন কার্ড কে ব্যবহার করতে পারবেন।
উক্ত রেজিস্ট্রেশন কার্ড সঙ্গে থাকলে, গাড়ি ও ব্যাটারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে সহজেই প্রতারক থেকে রেহাই পাবেন।
প্রক্রিয়া
আপনার ভোটার আইডি কার্ড ও মোবাইল নাম্বার নিয়ে আপনার নিকটস্থ দোকানে (যে দোকান থেকে গাড়ি অথবা ব্যাটারি নিয়েছেন) অথবা কোনো কম্পিউটারের দোকানে অথবা এই বইয়ের পিছনে দেয়া নাম্বার এ যোগাযোগ করে আপনার এলাকার এজেন্টের নাম্বার নিয়ে যোগাযোগ করলে তারা আপনার রেজিস্ট্রেশন করে দিবে।
রেজিস্ট্রেশন করার সময় অবশ্যই গাড়ি সঙ্গে আনবেন।
রেজিস্ট্রেশন ফি: ৩০০ টাকা
তথ্য পরিবর্তন: ১৫০ টাকা
বিশেষ সতর্কতা
এই কার্ড কখনো কাউকে দিবেন না
এই কার্ড দিয়ে কোনো প্রকার লোন নেওয়া ও বন্ধক রাখা যাবে না
আপনার ফোনের OTP অন্য কাউকে দিবেন না, রেজিস্ট্রেশন ও তথ্য পরিবর্তনের সময় এজেন্ট ব্যতীত